আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, আজকা মাওলানা মালিক নামের ছেলেটি দুই দিন ধরে আটকে ছিল এবং তাকে তার দাদির লাশের পাশে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ছেলেটির এক আত্মীয় সালমান আলফারিসি বলেছেন, ‘(আজকা) এখন ভালো আছে, সে সুস্থ আছে। ডাক্তার বলেছে ক্ষুধার্ত থাকার কারণে সে কেবল একটু দুর্বল। এছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ছেলেটির মা সোমবারের ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন। সে এখন বাড়ি যেতে চায়।’
ঘনবসতিপূর্ণ জাভা দ্বীপের পশ্চিমে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছে এই সংখ্যা বাড়বে কারণ কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও পৌঁছানো হয়নি এবং ভারী বর্ষণের ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। এখনো প্রায় ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং ২ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
২০১৮ সালের পর এটিই ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প। এর আগে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামি এবং ভূমিধসের সৃষ্টি করে। এতে ৪ হাজারের বেশি লোক মারা যায়।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির প্রধান সুহরিয়ানতো বলেছেন, পুলিশ, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা অনুসন্ধান প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য বুধবার ১২ হাজারের বেশি সেনা সদস্যকে মোতায়েন করেছে।
ঘটনায় অনেকেই বাস্তুহারা হয়েছে। তাদের সকলের কাছে সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ৬২ হাজার নাগরিককে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো ভূমিকম্পের পরের দিন সিয়াঞ্জুর পরিদর্শন করেন এবং এর অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি বাসিন্দাকে ৫০ মিলিয়ন রুপিয়া (৩ হাজার ১৮০ ডলার) পর্যন্ত সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে একটি ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে বিশাল সুনামির সূত্রপাত ঘটে যা ভারত মহাসাগরের আশেপাশের ১৪টি দেশের উপকূলে আঘাত করে। এতে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় যার অর্ধেকেরও বেশি লোক ইন্দোনেশিয়ার।
Leave a Reply